Our 7 Technical Misconceptions

এই আর্টিকেলটি হয়ত একটু বোরিং হতে চলেছে কেননা আজ আমরা আলোচনা করব আমাদের ৭টি প্রযুক্তিগত ভুল ধারনা নিয়ে ।

বেশি কোর বেশি স্পীড :

মাদের ল্যাপটপ, মোবাইলে প্রোসেসর লাগানো থাকে ; যেখানে আমরা দেখতে পারি একাধিক কোর।ডুয়াল কোর, কুয়াড কোর, হেক্সা কোর যত বেশী কোর তত স্পীড। আমরা এই বিশ্বাসই সবসময় করে থাকি। আমার ফোন কোয়াড কোর, ওক্টাকোর,হেক্সাকোর এইসব বলে থাকি। কিন্তু কোর দিয়ে প্রোসেসর এর মান যাচাই করা বোকামী ছাড়া আর কিছু না। আপনার ফোনে ১০ কোর এর প্রোসেসর ; অন্যদিকে অ্যাপেল এর এ৯,এ১০ প্রোসেসর এসে আপনার ফোনকে একদম গুড়িয়ে দিয়ে চলে যাবে ; যেখানে দেখা যাবে তাদের কোর সংখ্যা মাত্র ২ টি। তাই বেশী কোর বেশী স্পীড এ ধারনা দূরে সরে দিয়ে ; ভালো ব্যান্ড এর প্রোসেসর ভালো স্পীড এ কথায় বিশ্বাসী হতে হবে।

বেশি সাইজ – ভালো ভিডিও কোয়ালিটি :

অনেক সময় আমরা বলে থাকি যে ৪কে ভিডিও এইচডি এর অপেক্ষা আরও বেশী ক্লিয়ার। আবার অনেক সময় আমরা যখন সিনেমা ডাউনলোড করি ২ জিবি ; তখন ভাবি এটা অবশ্যই ১ জিবি একই সিনেমার থেকে আরও ভালো কোয়ালিটির হবে। এটা আসলে বলতে গেলে ভুল ধারনা। এখানে এটিও নির্ভর করে সেটা ভিডিওর এনকোডিং কিভাবে করা হয়েছে, সোর্স ফাইল এর সাইজ কত ইত্যাদি। তাই শুধু ওই ভিডিও এর রেজুলেশন এবং সাইজ দিয়ে আপনি ভিডিও কোয়ালিটি বিচার করতে পারবেন না। ৫০ লক্ষ টাকার রেড ৬কে ক্যামেরা এবং আইফোন ৭ একইসাথে রেখে ভিডিও করলে ৯৫% একই মানের ফুটেজ পাওয়া সম্ভব।

তেলের পাম্পে মোবাইল ফোন বন্ধ করুন :

আমাদের দেশে একটি বিষয় প্রচলিত আছে ; তা হল তেলের পাম্পে। পেট্রোল পাম্পে মোবাইলে কথা বলা যাবে না ; কথা বললে বা ফোন চালু রাখলে বিস্ফোরন হতে পারে। আরে ভাই ফোনের ভিতর কী কয়লার খনি আছে আছে যে আগুন লাগবে? আর আগুনে পেট্রোল ব। তেল বিস্ফোরিত হবে। সুতরাং এর পর থেকে গ্যাস স্টেশন / তেলের পাম্পে মোবাইলে কথা বলুন, চালু রাখুন বা পাম্পে দিয়ে মোবাইল ভাঙ্গাভাঙ্গি করুন ; কিছুই হবেনা। 


গরিলা গ্লাস মানে কথাই নাই :

আমরা ভাবি আমদের ফোনে গরিলা গ্লাস রয়েছে ; মানে আমাদের ফোন ভাঙ্গার,স্ক্র্যাচ পরার কোন ভয়ই নেই। তবে এটা ভুল ধারনা। গরিলা গ্লাস একটু মজবুত বেশী, স্ক্র্যাচ কম পরে ; তবে একদমই ভাঙ্গেনা বা স্ক্র্যাচ পরে না এটা ভুল ধারনা। আপনার গরিলা গ্লাসওয়ালা ফোন বালুর ওপর একটু ঘসলেই টের পাবেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে হাত থেকে পরে গরিলা গ্লাসও ভেঙ্গে যায়; এখন সেটা ভিত্তি করে ঘটনার ওপর। হাতুর দিয়ে পিটালে বুলেট প্রুফ গ্লাসও বেঙে যায়।

বিমানে ফোন বন্ধ রাখতে হবে :

যদিও এই আর্টিকেলটি যারা পরছেন এর ভিতর বিমানে যাতায়াত করে এমন মানুষ হয়ত ১%। তবুও জেনে রাখা ভালো। বিমানে ওঠার ক্ষেত্রে আমরা নানা কথা শুনি ; ফোন এরোপ্লেন মোড এ রাখতে হবে, ফোন ওফ করতে হবে ; না হলে বিমানে রেডিও সিংনাল কে বাধাগ্রস্হ করবে ; আর বিমান রাডার এর সাথে সংযোগ রাখতে পারবে না ক্র্যাস করবে। 

মোবাইল এর সিংনাল প্রযুক্তি আর বিমান এর রেডিং প্রযুক্তি একদম আালাদা ; এই দুটি এক হয়ে সমস্যা সৃষ্টি করার কোন প্রশ্নই আসে না। যেমন : গরু ছাগল একি মাঠে ঘাষ খায় কেউ কারো সমস্যা করে না ?।

যতবেশী Mah – ততবেশী ব্যটারি ব্যাকআপ

ব্যাটারির যত বেশী এমএএইচ তত বেশী ব্যাকআপ দিবে ফোনকে! এমেএইচ বেশী মানে ক্যাপাসিটি বেশি এটা ঠিক ; তবে কত ব্যাকআপ দিবে তা নির্ভর করবে আপনার ডিভাইস এর হার্ডওয়্যার এর ওপর। এখন আপনার ডিভাইস এর ডিসপ্লে বেশী এনার্জি কনজিউম করে, আর আপনার ব্যাটারি ৩০০০ Mah তখন দেখা যাবে ২০০০ Mah এর ডিভাইস থেকে আপনার ডিভাইস তাড়াতাড়ি শেষ হচ্ছে।


ডলবি সাউন্ড মানে ফাটাফাটি :

অনেক সময় আমাদের কেনা ডিভাইস এ লেখা থাকে ডলবি সাউন্ড টেকনোলজি। অর্থাত ডলবি সাউন্ট ব্যবহার করা হয়। এতে আমরা মনে আমাদের ডিভাইস এর অডিও আউটপুট হবে মধুর। এটিও ভুল ধারনা এখন আপনি যদি লো কোয়ালিটি গান তুলে শোনেন তাহলে ডলবি কিছুই করতে পারবেনা ; অর্থাত নির্ভর করে মূল সোর্স কোন কোয়ালিটির তার ওপর। আবার যদি ফুটপাত থেকে ১০ টাকা দিয়ে হোডফোন কিনে গান শোনেন তখনও ডলবি কিছু করতে পারবে না।

Post a Comment

0 Comments