ফটোকপি মেশিন এর সাথে তো অনেকেরই পরিচয় আছে; তা আপনারা ব্যবহারও করেছেন। সাদা-কালো,কালার,ছোট-বড় বিভিন্নভাবে ফটোকপি করেছেন। আপনি কি জানেন কিভাবে এটি কাজ করে?
অ্যানালগ পদ্ধতি :
এখানে মেশিন দেখতে অনেক বড়; তবে ভিতরের যে কনসেপ্ট তা খুবই সিম্পল।এখানে খুব সহজেই যেকোন কাগজ;যা মুদ্রিত বা লিখিত খুব সহজেই কপি করা যায়।তবে কিভাবে? এখানে প্রথমে হয় কি; সেটা হল যে গ্লাসটা থাকে সেখানে আপনি আপনার কাগজটি রাখেন।এখানে নিচে থেকে একটা আলো স্ক্যান করে সেই কাগজকে।আর এই সময় যা হয়; ওই আলো আসে আপনার কাগজের ওপর আর সেখান থেকে সেটি; প্রতিফলিত হয়ে চলে যায় নিচে একটি বড় ড্রামের ওপর। এখানে আপনার কাগজে যা আছে প্রতিফলিত আলো ওই একই প্যাটার্নেই থাকবে। আর কাগজ যে একটি আলো স্ক্যান করা শুরু করল ড্রামটিও ঠিক একই মুহূর্তে ঘোরা শুরু করবে।
এখানে ওই ড্রামটি ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক্যালি চার্জড অবস্হায় থাকে। এখানে কাগজের ছাপা অংশ কোন আলো প্রতিফলিত করে না। তাই এখানে ড্রামের অন্ধকার অংশ যেখানে আলো পরেনি;তা পজিটিভ চার্জে চার্জিত হত। আর ফটোকপি মেশিন এর ভেতর থাকে একটি টোনার; যা থেকে প্রতিনিয়ত কালি স্প্রে হতে থাকে; এই কালিটি হয় নেগেটিভ চার্জে চার্জিত হয়ে থাকে। তাই এটি ড্রাম এর পজিটিভ অংশের সাথে আঠারমত আটকে থাকে।এর ভেতর যখন কাগজ ঢুকানো হয়;একে পজিটিভ চার্জে চার্জিত করা হয় এবং ড্রাম থেকে কার্বন পাউডার এর প্যাটার্ন তার গায়ে তুলে আনে। এরপর গরম রোলারে কাগজকে চালিয়ে কালিকে পার্মানেন্টভাবে কাগজের গায়ে লেগে দেয়া হয়।অত:পর বেরিয়ে আসে সেই কপি হওয়া কাগজ। এই পদ্ধতিটি বহু আগে থেকে চলে আসছে। ফটোকপির এই প্রক্রিয়াটি অ্যানালগ পদ্ধতি।
ডিজিটাল পদ্ধতি :
তবে বর্তমানে ধীরে ধীরে যে নতুন ফটোকপি সিস্টেমটি প্রচলিত হচ্ছে; এটি ডিজিটাল পদ্ধতি এবং এর কনসেপ্ট পুরোপুরি আলাদা। এখানে কপি হওয়া পেজ এর সাইজ সাইজ ছোট করা যায়, কালার কনট্রাস্ট বদলানো যায়; আবার তা ডিজিটালি স্টোর করা যায়। এখানে কনসেপ্টটা পুরোপুরিভাবে চেঞ্জড। এখানে আপনার কাছে যা থাকে তা হল একটি সেন্সর। যা মূলত আপনি যে কাগজ এর ফটোকপি করবেন তার একটি ছবি ক্লিক করে।এখানে প্রিন্টিং প্রোসেস একই, তবে আগের মত ওই লাইট রিফ্লেকশন প্রক্রিয়ায় বদলে এখানে করছে ডিজিটাল লেসার বা ক্যামেরা প্রক্রিয়া। এখানে আপনি কাজটি হচ্ছে সিম্পল ছবি ক্লিক করার মাধ্যমে। যা হচ্ছে একটি CCD সেন্সর এর মাধ্যমে। যার পূর্নরূপ হচ্ছে Charge Coupled Device। এটি একধরনের সেন্সর যা আগেকার ক্যামেরায় ব্যবহার করা হত। তবে বর্তমানে ক্যামেরায় BSI, CMOS এর মত আরও উন্নত উন্নত সেন্সর ব্যবহার করা হয়। তবে ফটোকপি মেশিনে CCD দিয়ে কাজ চলে যায়।
এখন স্ক্যানার এর কনসেপ্টটাও একই; আপনি কম্পিউটারে যে স্ক্যানার ডিভাইস ব্যবহার করেন; তা একইভাবে ডকুমেন্ট কম্পিউটারে ডিজিটালি স্টোর করে।
2 Comments
Awesome and interesting article. Great things you've always shared with us. Thanks. Just continue composing this kind of post.
ReplyDelete租影印機
These printers have a lot of plastic pieces that can break with just the opening and closing of the front door. Some that lock the cartridges in place, others that actuate the cartridge shutter (drum cover). When they do break they can cause errors, jams, and even print quality issues. color printer
ReplyDelete